চন্দনাইশ প্রতিনিধিঃ চন্দনাইশ উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকা ধোপাছড়ি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডস্থ শামুকছড়ি এলাকার ছিদ্দিকার ঘোনা হতে গত রমজান মাসে এবং সর্বশেষ গত বুধবার রাতে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার সেগুন গাছ কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আবদুল আলীমের ছেলে গোলাম রসুল বাবুল ও তার দুই ভাই গোলাম আজাদ শিশু এবং গোলাম পেয়ারু দীর্ঘদিনের বন্দোবস্তীকৃত শামুক ছড়ি ছিদ্দিকার ঘোনায় ১৪ একর পাহাড়ি ভূমিতে সেগুন গাছের বিশাল বাগান সহ আম ও লেবুর বাগান সৃজন করেন। বাগান দেখাশুনার জন্য কেয়ারটেকার হিসাবে আবদুল শুক্কুর নামের এক ব্যক্তিকে দায়িত্বও দেন তারা। পরিদর্শনকালে ক্ষতিগ্রস্ত গোলাম রসুল বাবুল সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে গাছ কাটার পরিকল্পনা করছিলাম, ঠিক সেই মুহুর্তে বনদস্যুরা গাছগুলি কেটে নিয়ে যাওয়ায় সরকার রাজস্ব হারিয়েছে। লোকজন ঈদ উৎসবে ব্যস্ত থাকার সুবাধে স্থানীয় আবদুর রহিমের নেতৃত্বে কতিপয় বনখেকো রাতের আঁধারে বাগান থেকে প্রায় দুই শতাধিক সেগুন গাছ কেটে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ৪০ লাখ টাকা। স্থানীয় ইউপি সদস্য টিপু দাশ সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সম্প্রতি এলাকায় বন খেকোদের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। বন রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সু-দৃষ্টি কামনা করেন তিনি। এ ঘটনায় বাগান মালিক গোলাম রসুল বাবুল বাদি হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে চন্দনাইশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে ধোপাছড়িস্থ সাঙ্গু বিট কর্মকর্তা নুরুল হুদার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং বাকী গাছ যাতে সংরক্ষিত থাকে সেইজন্য নিয়মিত পাহারা দিয়ে যাচ্ছি। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি
Leave a Reply